, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


তালতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ ও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মানববন্ধন

  • আপলোড সময় : ২৫-০১-২০২৪ ০৪:৩৬:০৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০১-২০২৪ ০৪:৩৬:০৭ অপরাহ্ন
তালতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ ও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মানববন্ধন
মোঃ শাহীন আলম, তালতলী,প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ ও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মানববন্ধন করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয় জনসাধারণ। ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১ ঘটিকায় উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ২৭নং নলবুনিয়া আগাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক  আলহাজ্ব মোঃ ছোবাহান মাষ্টার, নলবুনিয়া আগাপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আঃগনি মৌলভী,নলবুনিয়া আগাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ. টি. এম হারুনুর রশীদ,নিশানবাড়িয়া ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন মোল্লা,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারী পুরুষ সম্মিলিত ঐ স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধশতাধিক অভিভাবক।

জানা গেছে  স্কুলে দুইটি ভবন রয়েছে কিন্তু দুটি ভবনই পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ। ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মোঃ মনিরুজ্জামান রিপন ২০১৩ সালে একটি ও ২০১৮ সালে দ্বিতীয় ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভবনের পাশেই নির্মাণ করা হয় টিনসেট ঘর। ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় সুযোগ পেলেই শিক্ষকের অজান্তেই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা চলে যায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচে। হাজারো বারনের পরেও শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরু কিংবা মধ্যাহ্ন বিরতির সময়ে খেলার আসর জমায় ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচে। তাইতো যেকোনো সময়ই ঘটে যেতে পারে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমতাবস্থায় অভিভাবক ও এলাকাবাসির জোর দাবী দ্রুত স্কুলের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দুটি অপসারণ ও নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক। 

এবিষয়ে অভিভাবকরা জানান, আমরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে অনেক চিন্তিত থাকি। দুর্ঘটনা কখনো বলে কয়ে আসে না, সুযোগ পেলেই ওরা ঐ ভবনের নিচে খেলতে যায়। 

ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ.টি.এম হারুনুর রশীদ বলেন অনেক বছর ধরেই ভাবন দুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জরাজীর্ণ টিনের ঘরে আমরা ক্লাস নিচ্ছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার জানানো হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন ভবন অপসারণের চেষ্টা চলছে দ্রুতই অপসারণ করা হবে। এবং নতুন ভবন আসলে ভবনের ব্যবস্থা করা হবে।
সর্বশেষ সংবাদ